, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


তামিমের মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষয় ধরেছে!

  • আপলোড সময় : ২৫-০৭-২০২৩ ১২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৭-২০২৩ ১২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন
তামিমের মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষয় ধরেছে!
অবশেষে গতকাল দুবাই থেকে লন্ডনে গেছেন তামিম ইকবাল। আর আজ লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আগামীকাল আরেকটি এমআরআই করাবেন তামিম। এর পরদিন লন্ডনের একজন স্পাইন ফিজিশিয়ানের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা দুজনে। তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে, তামিম ইকবালের কোমরের নিচের অংশের চোট সারানোর প্রক্রিয়া।

এদিকে চোট কিংবা ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। বিশেষ করে কোমরের নিচের অংশের এই ব্যথা বেশ পুরনো। এমনিতে হঠাৎ অনুভূত হওয়া এই ব্যথা দু-এক দিন পর আপনাআপনি চলে যেত। কিন্তু আবার ফিরে আসত কিছুদিনের বিরতি দিয়ে। এই সমস্যার সমাধানে মে মাসে চেমসফোর্ডে অনুষ্ঠিত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তামিম।

হেড কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের পরামর্শে সিরিজ চলাকালে প্রথমে একজন স্পোর্টস অস্টিওপ্যাথ এবং পরে একজন স্পোর্টস ফিজিশিয়ানের কাছে পরামর্শ নিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। স্ক্যানও করানো হয়েছিল তামিমের কোমরের। তখন বিসিবির তরফে জানানো হয়েছিল, স্ক্যানে গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। যদিও একই স্ক্যান রিপোর্ট দেখে লন্ডনের স্পাইন ফিজিশিয়ান টনি হ্যামন্ড নিশ্চিত করেছেন যে তামিম ইকবালের মেরুদণ্ডের নিচের দুটি হাড়ের মাঝের ডিস্কে ক্ষয় ধরেছে।

এদিকে তামিম ইকবালের এই চোট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা ফিসফাস চলছে ক্রিকেটাঙ্গনে। সে কারণেই কিনা সম্প্রতি টনি হ্যামন্ডের সঙ্গে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যোগাযোগ করেন তামিম। ঢাকা, দুবাই ও লন্ডনকে সংযুক্ত করা ভিডিও কনফারেন্সে তামিম ও বিসিবির চিকিৎসক দলকে হ্যামন্ড জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ ওপেনারের চোট ফোর্থ ও ফিফথ লাম্বার স্পাইন ভার্টিব্রার (এল-ফাইভ) মাঝের ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ভিডিও কনফারেন্সের আলোচনার অংশবিশেষ অবহিত হয়েই সম্ভবত ভারতের সঙ্গে সিরিজ ড্র করা বাংলাদেশ নারী দলকে অর্থ পুরস্কার দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে তামিমের চিকিৎসার ব্যাপারে ধারণা দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ‘এখন ও বলছে, একজন ডাক্তার দেখিয়েছে। তিনি বলেছেন, ইনজেকশন দিতে হবে নয়তো সার্জারি করাতে হবে।’ 

তামিমের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু বিসিবি প্রধানের বক্তব্যে মৃদু অসন্তোষ চাপা থাকেনি। কারণ, মে মাসে করানো স্ক্যানেই যে তামিমের চোট ধরা পড়েছিল, সেটি তখনো তিনি জানতেন না। বিসিবির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সংবাদ সম্মেলনের পর সেই স্ক্যান রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বিসিবি সভাপতিকে। তিনি নাকি অবাক হয়েছেন এত দিন এই বিষয়টি আড়ালে থাকায়!

তামিমের এই চোট কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? গুগল করলেই মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়। এর রোগীদের সুস্থতার মূল শর্ত বিশ্রাম। এমনকি ওঠা-বসা এবং শয্যাগ্রহণের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সেখানে তামিম ক্যাম্প করেছেন, জিমও করেছেন। জিমে নিশ্চয় ওজনও তুলেছেন। যদিও ‘এল-ফাইভ’ রোগীদের পাঁচ পাউন্ড ওজন তোলাও বারণ আছে।

তাই অনুমান করা যায়, তামিমের চোটের গভীরতা আরো বেড়েছে। তাতে বিশ্রাম, চলাফেরায় সতর্কতা আর বেদনানাশক ওষুধে কাজ না-ও হতে পারে। বিসিবি সভাপতি নিজেই গত পরশু ধারণা দিয়েছেন, ইনজেকশন নেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত গড়াতে পারে তামিমের সুস্থ হয়ে ওঠার ‘ইনিংস’।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস